আকাশে উড়ার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা শত শত মানুষকে মুহূর্তেই কেড়ে নিয়েছে কিছু ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনা আজও বেদনাদায়ক স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে। চলুন জানি সেই সব ঘটনা, যেগুলো আমাদের শিখিয়েছে নিরাপদ আকাশযাত্রার গুরুত্ব।

১. আগস্টে সিলেট বিমানবন্দরে পাখি ঢুকে ইঞ্জিন বিকল।
২. মার্চে কক্সবাজারে কার্গো বিমান সাগরে আছড়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু।
বিমান বাহিনীর রক্তাক্ত ইতিহাস বলে, গত তিন দশকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন প্রশিক্ষণরত পাইলট ও কর্মকর্তা। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে তাদের প্রশিক্ষণকালে।
এই প্রতিটি দুর্ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার গুরুত্ব কতখানি। বিমান চলাচলের অবকাঠামো উন্নয়ন, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা জোরদার করা এখন আমাদের সময়ের দাবি, যৌক্তিক অধিকার। আমরা যেন বিশ্বাস করতে পারি, "নিরাপদ আকাশযাত্রা আমাদের একটি স্বভাবিক অধিকার"
আপনার কি এসব দুর্ঘটনা সম্পর্কে কোনো স্মৃতি আছে? নিচে কমেন্টে শেয়ার করুন আপনার অনুভূতি। আল্লাহ আপনার সহায় হউক।
সোর্স: জাগো নিউজ

১৯৮৪: ঢাকার জলাভূমিতে রক্তাক্ত অবতরণ
৫ আগস্ট ১৯৮৪, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান খারাপ আবহাওয়ায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে জলাভূমিতে আছড়ে পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে আসা এই ফ্লাইটে থাকা ৪ ক্রু ও ৪৫ যাত্রী সবাই নিহত হন। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক বিমান দুর্ঘটনা।১৯৯৭: সিলেটের ধানক্ষেত্রে বিধ্বস্ত বিমান
২২ ডিসেম্বর ১৯৯৭, ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ফকার এফ২৮ মডেলের আরেকটি বিমান ঘন কুয়াশায় উমাইরগাঁওয়ের ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন আহত হন। আশ্চর্যের বিষয়, এই একই মডেলের বিমান ২০০৪ সালে আবারও সিলেটে দুর্ঘটনার শিকার হয়।২০১৫: এক বছরে দুই ট্র্যাজেডি
২০১৫ সালে বাংলাদেশের আকাশপথে ঘটে যায় দুটি বড় দুর্ঘটনা:১. আগস্টে সিলেট বিমানবন্দরে পাখি ঢুকে ইঞ্জিন বিকল।
২. মার্চে কক্সবাজারে কার্গো বিমান সাগরে আছড়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু।
২০১৮: নেপালে বাংলাদেশি বিমানের মর্মান্তিক পতন
১২ মার্চ ২০১৮, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়, যা বাংলাদেশি বিমান সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।বিমান বাহিনীর রক্তাক্ত ইতিহাস বলে, গত তিন দশকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন প্রশিক্ষণরত পাইলট ও কর্মকর্তা। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে তাদের প্রশিক্ষণকালে।
২০২৫: উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডি
সর্বশেষ ২১ জুলাই ২০২৫, রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই মর্মান্তিক ঘটনায় ৫০+ জন নিহত ও ১৮০+ জন আহত হন। ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখী ৯০ শতাংশই ছিল প্রাথমিক স্কুলের শিশুরা।এই প্রতিটি দুর্ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার গুরুত্ব কতখানি। বিমান চলাচলের অবকাঠামো উন্নয়ন, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা জোরদার করা এখন আমাদের সময়ের দাবি, যৌক্তিক অধিকার। আমরা যেন বিশ্বাস করতে পারি, "নিরাপদ আকাশযাত্রা আমাদের একটি স্বভাবিক অধিকার"
আপনার কি এসব দুর্ঘটনা সম্পর্কে কোনো স্মৃতি আছে? নিচে কমেন্টে শেয়ার করুন আপনার অনুভূতি। আল্লাহ আপনার সহায় হউক।
সোর্স: জাগো নিউজ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।