১০ টি সাইকোলজিক্যাল টিপস যা জেনে রাখা খুব দরকার

পৃথিবী যেমন রহস্যময় তেমনি রহস্যময় মানুষ জাতি। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার ফলে মানুষ আজ জানতে পেরেছে বহু অজানা রহস্য, জানতে পেরেছে মানুষের বিভিন্ন আচরনের কারন এবং কোন আচরনের কি বহিঃপ্রকাশ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বলব ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলোজিক্যাল টিপস যা আপনাকে সাহায্য করবে আপনার পাশের মানুষটি কেমন প্রকৃতির, কি চায় এবং কিভাবে আপনি তার মন বুঝে তাকে জয় করে নিতে পারবেন।

সাইকোলজি বিষয়ে আরো পড়ুন:

১: ১০ টি সাইকোলজিক্যাল টিপস যা জেনে রাখা খুব দরকার
২: সাইকোলজি কী এবং কেন? মানুষের মন ও আচরণের বিজ্ঞান
৩: মানুষকে আপনার কথায় রাজি করানোর সেরা ৫টি ডার্ক সাইকোলজি টিপস
৪: মন নিয়ন্ত্রণের গোপন সাইকোলজি ট্রিকস, জানুন কীভাবে প্রভাবিত করবেন অন্যদেরকে
৫: একজন সফল মনোবিজ্ঞানী হতে চান? জেনে নিন ১০টি অপরিহার্য সাইকোলজিক্যাল টিপস
৬: স্কুল সাইকোলজি এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি এর মূল পার্থক্য

সাইকোলজি কত প্রকার?, সবচেয়ে ভালো সাইকোলজিক্যাল ট্রিক কি?, Psychology tips in bangla - Saimoom.com

০১: যখন কিছু মানুষ একসাথে গল্প করে এবং হাসাহাসি করে তখন প্রতিটা মানুষই তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষটার দিকেই তাকাবে বেশী। আর তখন আপনি চট করেই বুঝতে পারবেন কে কাকে পছন্দ করে। মনের কথা জানার জন্য এটা চরম একটি মনোবিজ্ঞান টিপস।

০২: একটা মানুষ যখন নার্ভাস থাকে তখন সে কিছু খেতে চাইবে না। আর তাই যখন কেউ কাজের সময় চুইং গাম অথবা কিছু খেতে থাকবে তখন বুঝতে হবে সেই ব্যক্তিটি স্বাভাবিক আছেন। তাই বলে প্রতিদিনের রুটিন খাবারের সময় এটা ভাবলে হবে না।

০৩: করো কাছ থেকে যদি কোন বিষয়ে পারফেক্ট উত্তর পেতে চান তবে তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। কারন এই পদ্ধতিটা বাধ্য করে অপর ব্যক্তিকে একটি সম্পূর্ণ উত্তর দিতে অথবা সত্যি কথা বলতে।
আসলে চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বলা বা এড়িয়ে যাওয়াটা অনেকটা কঠিন ব্যাপার।

০৪: চাকরির ইন্টাভিউতে আপনি মনে করুন যে আপনার ভবিষ্যত কলিগ বা যিনি আপনার ইন্টাভিউত নিচ্ছেন তিনি আপনার খুব কাছের একজন বন্ধু যার সাথে বহু দিন যাবং আপনার দেখা বা কথা হয় নি। দেখবেন আপনি খুব সাচ্ছন্দেই সকল বিষয়ের উত্তর দিতে পারছেন।
আর ভাববেনই বা না কেন, যদি চাকরি হয়েই যায় তবে তিনি তো আপনার ভাল বন্ধু হয়েই যাবে। তাই পরে কেন ভাববেন, এখুনিই ভাবুন।

০৫: আপনি যদি করো কাছ থেকে খুশি খুশি কোন উত্তর পেতে চান অথবা হাস্যোজ্জল ভাবে কথাবার্তা বলতে চান তবে আপনার চেয়ারের পেছনের দেয়ালে একটি আয়না রাখুন যাতে করে অপর ব্যক্তিটি নিজেকে দেখতে পারে। কারণ কেউ কখনোই নিজেকে রাগান্বিত অথবা বোরিং অবস্থায় দেখতে চায় না।

০৬: অনাকাঙ্খিত কোন জিনিষ অন্য কাউকে দিতে চাইলে তার সাথে কথা বলুন খুব গভীরভাবে এবং তাকে প্রশ্ন করুন ঐ বিষয়ে যা তিনি পছন্দ করেন এবং ওই সময় তাকে উক্ত জিনিষটি দিতে পারেন। এর কারন এই যে, মানুষ যখন কোন বিষয়ে আনমনে কখা বলে তখন মস্তিষ্ক খুব ব্যস্ত থাকে যার ফলে এটা খুব একটা ভাবনার মধ্যে আসে না যে আনমনে কি নিচ্ছি।
এই ধরুন একটা নিউজপেপার যা কিনা আপনি স্বইচ্ছাতে অন্য কাউকে তার অজান্তে দিতে চাইছেন।

০৭: যদি কারো সাথে অল্প সময়ে বন্ধুত্ব করতে চান তবে তার কাছে কোন বিষয়ে সাহায্য চাইতে পারেন। আর এভাবেই গড়ে তুলতে পারেন পরবর্তি সখ্যতা। কারন কেউ সাহায্য চাইলে কেউ তা এড়িয়ে যেতে পারে না।

০৮: আপনি যদি মুহূর্তের মধ্যে কারো বিশ্বাস এবং ভরসা অর্জন করতে চান তবে তার অঙ্গিভঙ্গি নকল করুন। যেমন ধরুন, কথা বলার সময় সে কিভাবে দাড়ালো, সে কিভাবে হাত রাখে ইত্যাদি। এই পদ্ধতিতে আপনি সহজেই কারো আস্থা অর্জন করতে পারবেন এবং পছন্দের পাত্র হতে পারবেন। আসলে নিজের হুবহু নকল কে না পছন্দ করে।

০৯: কারো গুরুত্ব পেতে চাইলে তার দিকে মুখ করে দাড়িয়ে কথা বলুন। এতে খুব সহজেই ওই ব্যক্তিটি আপনার দিকে মনোনিবেশ করবে।

১০: আপনি যদি কারো সাথে অনেকক্ষন কথা বলতে চান তবে তিনি যেই বিষয়ে বেশী আগ্রহী সেই বিষয়ে কথা বলুন। দেখবেন তাকে কথা দিয়ে আটকে রাখতে পারবেন বহুক্ষন।


পোস্টটি ভাল লাগলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের বিষয় আমাদের বলতে পারেন, আমরা চেষ্টা করব আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখার জন্য। ভাল থাকবেন, খুশি থাকবেন।

10 মন্তব্যসমূহ

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

  1. পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো লাগার মত জিনিস

    উত্তরমুছুন
  3. সত্যি পড়ে খুব ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

নবীনতর পূর্বতন