মনোবিজ্ঞানের জগতে সাইকোলজি একটি বিশাল ক্ষেত্র, কিন্তু এর ভেতরেও আলাদা আলাদা নানা শাখা আছে। এদের মধ্যে School Psychology এবং Clinical Psychology দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেগুলোর কাজের ধরণ, লক্ষ্য ও প্রয়োগ ক্ষেত্র বিষয়ে ভিন্ন।
সাইকোলজি বিষয়ে আরো পড়ুন:

মনোবিজ্ঞানের জগৎ বিশাল ও বৈচিত্র্যময়। এর ভেতরে এমন অনেক শাখা রয়েছে যা মানুষের মন, আচরণ ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে School Psychology এবং Clinical Psychology দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেগুলো প্রায়ই একে অপরের সাথে মিশে যায় বলে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। কিন্তু বাস্তবে এদের উদ্দেশ্য, কাজের ধরন এবং প্রয়োগ ক্ষেত্র ভিন্ন।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো ছাত্র পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকলে বা বন্ধুদের সাথে মানিয়ে নিতে না পারলে, স্কুল সাইকোলজিস্টরা মানুষের মন ও আচরণকে কি বলা হয় এর মতো মনোবৈজ্ঞানিক ধারণা প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করেন।
স্কুল সাইকোলজিস্টরা শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে মিলেমিশে কাজ করেন যাতে ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। তারা মাঝে মাঝে কথা বলার সাইকোলজি ব্যবহার করে লাজুক ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা মাঝে মাঝে ডার্ক সাইকোলজি ট্রিকস বা সাইকোলজি ট্রিকস বোঝার মাধ্যমে রোগীর আচরণগত সমস্যা সমাধান করেন। উদাহরণস্বরূপ, তারা বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের সাইকোলজি বোঝার উপায় সম্পর্কিত গবেষণা করে দাম্পত্য সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
২. Clinical Psychology যে কোনো বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক ব্যাধি এবং গভীর মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসায় কাজ করে।
৩. স্কুল সাইকোলজি প্রয়োগ করে মন বিজ্ঞান ও শিক্ষাগত কৌশল, আর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ব্যবহার করে উন্নত থেরাপি এবং কখনো কখনো ডার্ক সাইকোলজি কি সম্পর্কিত ধারণা।
শেষ কথা
দুই ক্ষেত্রের লক্ষ্য একই মানুষের মন ও আচরণ বোঝা এবং তা উন্নত করা। তবে কাজের ধরন, পরিসর ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে স্পষ্ট পার্থক্য আছে। একদিকে স্কুল সাইকোলজি শিশু ও কিশোরদের শিক্ষাগত ও সামাজিক বিকাশে কাজ করে, অন্যদিকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি মানসিক স্বাস্থ্যের গভীরে গিয়ে সমাধান দেয়।
প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে আপনারদের প্রিয় সাইকোলজি বিভাগে এই স্কুল সাইকোলজি এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে পোস্টটি পড়ে কেমন লেগেছে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্থ্যতা কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।
সাইকোলজি বিষয়ে আরো পড়ুন:
১: ১০ টি সাইকোলজিক্যাল টিপস যা জেনে রাখা খুব দরকার
২: সাইকোলজি কী এবং কেন? মানুষের মন ও আচরণের বিজ্ঞান
৩: মানুষকে আপনার কথায় রাজি করানোর সেরা ৫টি ডার্ক সাইকোলজি টিপস
৪: মন নিয়ন্ত্রণের গোপন সাইকোলজি ট্রিকস, জানুন কীভাবে প্রভাবিত করবেন অন্যদেরকে
৫: একজন সফল মনোবিজ্ঞানী হতে চান? জেনে নিন ১০টি অপরিহার্য সাইকোলজিক্যাল টিপস
৬: স্কুল সাইকোলজি এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি এর মূল পার্থক্য
২: সাইকোলজি কী এবং কেন? মানুষের মন ও আচরণের বিজ্ঞান
৩: মানুষকে আপনার কথায় রাজি করানোর সেরা ৫টি ডার্ক সাইকোলজি টিপস
৪: মন নিয়ন্ত্রণের গোপন সাইকোলজি ট্রিকস, জানুন কীভাবে প্রভাবিত করবেন অন্যদেরকে
৫: একজন সফল মনোবিজ্ঞানী হতে চান? জেনে নিন ১০টি অপরিহার্য সাইকোলজিক্যাল টিপস
৬: স্কুল সাইকোলজি এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি এর মূল পার্থক্য

মনোবিজ্ঞানের জগৎ বিশাল ও বৈচিত্র্যময়। এর ভেতরে এমন অনেক শাখা রয়েছে যা মানুষের মন, আচরণ ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে School Psychology এবং Clinical Psychology দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেগুলো প্রায়ই একে অপরের সাথে মিশে যায় বলে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। কিন্তু বাস্তবে এদের উদ্দেশ্য, কাজের ধরন এবং প্রয়োগ ক্ষেত্র ভিন্ন।
স্কুল সাইকোলজি কী এবং এর কাজ
School Psychology মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে কাজ করে। স্কুল সাইকোলজিস্টরা শিক্ষার্থীদের কোনো কিছুর শেখার সমস্যা, আচরণগত চ্যালেঞ্জ, সামাজিক যোগাযোগের অসুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। তারা সাইকোলজি টিপস, হিউম্যান সাইকোলজি টিপস এবং মনোবিজ্ঞান টিপস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, মনোযোগ এবং শেখার ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় বের করেন।উদাহরণস্বরূপ, কোনো ছাত্র পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকলে বা বন্ধুদের সাথে মানিয়ে নিতে না পারলে, স্কুল সাইকোলজিস্টরা মানুষের মন ও আচরণকে কি বলা হয় এর মতো মনোবৈজ্ঞানিক ধারণা প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করেন।
স্কুল সাইকোলজিস্টরা শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে মিলেমিশে কাজ করেন যাতে ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। তারা মাঝে মাঝে কথা বলার সাইকোলজি ব্যবহার করে লাজুক ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি কী এবং এর কাজ
Clinical Psychology তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত ও বেশ গভীর ক্ষেত্র। এখানে মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধি যেমন উদ্বেগ, বিষণ্নতা, ট্রমা, এমনকি হ্যালুসিনেশন কি এসব সমস্যার নির্ণয় ও চিকিৎসা করেন। তারা বিভিন্ন কাউন্সেলিং, থেরাপি এবং প্রয়োজনে ডার্ক সাইকোলজি সম্পর্কিত জ্ঞান ব্যবহার করে রোগীর অবচেতন মনের গভীর সমস্যা শনাক্ত করেন।ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা মাঝে মাঝে ডার্ক সাইকোলজি ট্রিকস বা সাইকোলজি ট্রিকস বোঝার মাধ্যমে রোগীর আচরণগত সমস্যা সমাধান করেন। উদাহরণস্বরূপ, তারা বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের সাইকোলজি বোঝার উপায় সম্পর্কিত গবেষণা করে দাম্পত্য সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
আলোচ্চ্য বিষয়সূহের মূল পার্থক্য
১. School Psychology শিক্ষাগত পরিবেশে সীমাবদ্ধ, যেখানে ফোকাস করা হয় মূলত শেখার উন্নতি, সামাজিকভাবে মানিয়ে নেওয়া এবং আচরণগত সমস্যা সমাধানে।২. Clinical Psychology যে কোনো বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক ব্যাধি এবং গভীর মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসায় কাজ করে।
৩. স্কুল সাইকোলজি প্রয়োগ করে মন বিজ্ঞান ও শিক্ষাগত কৌশল, আর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ব্যবহার করে উন্নত থেরাপি এবং কখনো কখনো ডার্ক সাইকোলজি কি সম্পর্কিত ধারণা।
শেষ কথা
দুই ক্ষেত্রের লক্ষ্য একই মানুষের মন ও আচরণ বোঝা এবং তা উন্নত করা। তবে কাজের ধরন, পরিসর ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে স্পষ্ট পার্থক্য আছে। একদিকে স্কুল সাইকোলজি শিশু ও কিশোরদের শিক্ষাগত ও সামাজিক বিকাশে কাজ করে, অন্যদিকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি মানসিক স্বাস্থ্যের গভীরে গিয়ে সমাধান দেয়।
প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে আপনারদের প্রিয় সাইকোলজি বিভাগে এই স্কুল সাইকোলজি এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে পোস্টটি পড়ে কেমন লেগেছে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্থ্যতা কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।