কখনও কখনও এমন একটি সাধারণ অ্যাপ থাকা ভালো লাগে যা ঝামেলা ছাড়া একটি কাজ ভালোভাবে করে।
মাইক্রোসফট লেন্স ছিল ঠিক তেমনই - একটি মোবাইল ডকুমেন্ট স্ক্যানার যা কাগজের নথি, ভিজিটিং কার্ড, রসিদ কিংবা অন্য যেকোনো কাগজপত্রকে সহজে পড়ার মতো ডিজিটাল ফাইলে রূপান্তর করতে পারতো। কিন্তু এখন মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই মাইক্রোসফট লেন্স অ্যাপটি বন্ধ করে দেবে এবং ব্যবহারকারীদের তাদের কোপাইলট এআই চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিবে।

নতুন একটি ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে iOS ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে লেন্স বন্ধ হয়ে যাবে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ - এ এটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। যারা ইতিমধ্যে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তারা ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মাইক্রোসফট লেন্স দিয়ে স্ক্যান করার সুবিধা পাবেন। এরপর নতুন স্ক্যান করা সম্ভব হবে না, তবে ডিভাইসে অ্যাপটি ইনস্টল থাকলে পুরনো স্ক্যানগুলো দেখা যাবে।
প্রথমবার ২০১৫ সালে চালু হওয়া মাইক্রোসফট লেন্স (তখন নাম ছিল অফিস লেন্স) মূলত উইন্ডোজ ফোনের জন্য তৈরি হয়েছিল। যদিও এর মূল কাজ অন্য স্ক্যানিং অ্যাপের মতোই ছিল, কিন্তু এটি অতিরিক্ত ফিচারের জন্য অর্থ চাইত না বা সাবস্ক্রিপশনে ঠেলে দিত না - যা আজকের অ্যাপ স্টোরে বেশ বিরল।
এটি যেকোনো নোট, হাতে লেখা বা প্রিন্টেড, ডকুমেন্ট, রসিদ, ভিজিটিং কার্ড, এমনকি হোয়াইটবোর্ডের আঁকিবুকিও ব্যবহারকারীর পছন্দের ফাইল ফরম্যাটে (যেমন PDF, Word, PowerPoint, Excel বা ইমেজ) রূপান্তর করতে পারত। এতে বিল্ট-ইন ফিল্টার ছিল যা ইমেজকে উন্নত করত, ডকুমেন্ট কম কিলোবাইটে সেভ করত, সাদা-কালো কপি তৈরি করত এবং আরও অনেক কিছু।
এরপর ফাইলটি মাইক্রোসফটের অ্যাপ, অন্যান্য অনলাইন সার্ভিস, কিংবা ফোনের ক্যামেরা রোলে সংরক্ষণ করা যেত। যা খুবই সহজ ছিল, আর ভালো কাজ করত।
এই বন্ধের খবর প্রথম প্রকাশ করে ব্লিপিং কম্পিউটার টেক নিউজ, যারা জানায় যে এখন ব্যবহারকারীদের মাইক্রোসফট ৩৬৫ কোপাইলট অ্যাপের দিকে পাঠানো হচ্ছে। তবে Copilot AI লেন্সের সব ফিচার দেয় না। যদিও কোপাইলটে স্ক্যান করা যায়, কিন্তু সরাসরি OneNote, Word বা PowerPoint - এ স্ক্যান সেভ করা যায় না, কিংবা ভিজিটিং কার্ড স্ক্যান করে OneNote - এ যোগ করাও সম্ভব নয়। এছাড়াও এতে লেন্সের অ্যাক্সেসিবিলিটি ফিচার, যেমন টেক্সট রিড-আউট বা ইমার্সিভ রিডার ইন্টিগ্রেশন নেই।
সকল কিছুর পরেও, মাইক্রোসফট লেন্স এখনও বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপফিগারস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ দিনে এটি অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে থেকে ৩,২২,০০০ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মোট ৯ কোটি ২৩ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ এখনো মাইক্রোসফট লেন্স বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মাইক্রোসফট লেন্স সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে।
মাইক্রোসফট লেন্স ছিল ঠিক তেমনই - একটি মোবাইল ডকুমেন্ট স্ক্যানার যা কাগজের নথি, ভিজিটিং কার্ড, রসিদ কিংবা অন্য যেকোনো কাগজপত্রকে সহজে পড়ার মতো ডিজিটাল ফাইলে রূপান্তর করতে পারতো। কিন্তু এখন মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই মাইক্রোসফট লেন্স অ্যাপটি বন্ধ করে দেবে এবং ব্যবহারকারীদের তাদের কোপাইলট এআই চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিবে।

নতুন একটি ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে iOS ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে লেন্স বন্ধ হয়ে যাবে। ১৫ নভেম্বর ২০২৫ - এ এটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। যারা ইতিমধ্যে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তারা ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মাইক্রোসফট লেন্স দিয়ে স্ক্যান করার সুবিধা পাবেন। এরপর নতুন স্ক্যান করা সম্ভব হবে না, তবে ডিভাইসে অ্যাপটি ইনস্টল থাকলে পুরনো স্ক্যানগুলো দেখা যাবে।
প্রথমবার ২০১৫ সালে চালু হওয়া মাইক্রোসফট লেন্স (তখন নাম ছিল অফিস লেন্স) মূলত উইন্ডোজ ফোনের জন্য তৈরি হয়েছিল। যদিও এর মূল কাজ অন্য স্ক্যানিং অ্যাপের মতোই ছিল, কিন্তু এটি অতিরিক্ত ফিচারের জন্য অর্থ চাইত না বা সাবস্ক্রিপশনে ঠেলে দিত না - যা আজকের অ্যাপ স্টোরে বেশ বিরল।
এটি যেকোনো নোট, হাতে লেখা বা প্রিন্টেড, ডকুমেন্ট, রসিদ, ভিজিটিং কার্ড, এমনকি হোয়াইটবোর্ডের আঁকিবুকিও ব্যবহারকারীর পছন্দের ফাইল ফরম্যাটে (যেমন PDF, Word, PowerPoint, Excel বা ইমেজ) রূপান্তর করতে পারত। এতে বিল্ট-ইন ফিল্টার ছিল যা ইমেজকে উন্নত করত, ডকুমেন্ট কম কিলোবাইটে সেভ করত, সাদা-কালো কপি তৈরি করত এবং আরও অনেক কিছু।
এরপর ফাইলটি মাইক্রোসফটের অ্যাপ, অন্যান্য অনলাইন সার্ভিস, কিংবা ফোনের ক্যামেরা রোলে সংরক্ষণ করা যেত। যা খুবই সহজ ছিল, আর ভালো কাজ করত।
এই বন্ধের খবর প্রথম প্রকাশ করে ব্লিপিং কম্পিউটার টেক নিউজ, যারা জানায় যে এখন ব্যবহারকারীদের মাইক্রোসফট ৩৬৫ কোপাইলট অ্যাপের দিকে পাঠানো হচ্ছে। তবে Copilot AI লেন্সের সব ফিচার দেয় না। যদিও কোপাইলটে স্ক্যান করা যায়, কিন্তু সরাসরি OneNote, Word বা PowerPoint - এ স্ক্যান সেভ করা যায় না, কিংবা ভিজিটিং কার্ড স্ক্যান করে OneNote - এ যোগ করাও সম্ভব নয়। এছাড়াও এতে লেন্সের অ্যাক্সেসিবিলিটি ফিচার, যেমন টেক্সট রিড-আউট বা ইমার্সিভ রিডার ইন্টিগ্রেশন নেই।
সকল কিছুর পরেও, মাইক্রোসফট লেন্স এখনও বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপফিগারস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ দিনে এটি অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে থেকে ৩,২২,০০০ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মোট ৯ কোটি ২৩ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ এখনো মাইক্রোসফট লেন্স বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মাইক্রোসফট লেন্স সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।