প্রথমেই আপনাকে স্বাগতম জানাই প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগের টিম থেকে।
করপোরেট মিটিংয়ে অনেকের ধারণা, মিটিংয়ে যত বেশি কথা বলবেন, তত বেশি নজরে পড়বেন। কিন্তু করপোরেট বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কাজের ফলাফল এবং দায়িত্ববোধই আপনাকে মূল্যবান করে তোলে, না যে শুধু কথা বলতে পারেন।
আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো কিভাবে কম কথা বলে অফিস মিটিংয়ে কার্যকরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন। জেনে নিন সেরা ১০টি কৌশল...

গুছিয়ে প্রশ্ন করা আপনাকে চিন্তাশীল এবং যুক্তিবাদী হিসেবে উপস্থাপন করে। এটি আলোচনাকে এগিয়ে নিতেও সাহায্য করে।
মিটিং হলো মূল্য প্রদর্শনের জায়গা, আড্ডার নয়। কম কথা বলে, বেশি কাজ দিয়ে এবং গুছিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেই সফল করপোরেট প্রফেশনাল হওয়া যায়।
প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে "করপোরেট মিটিংয়ের সেরা টিপসগুলো" পড়ে আপনার কেমন লেগেছে আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। আপনার মঙ্গল কামনা করি। ভাল থাকুন সবসময়।
করপোরেট মিটিংয়ে অনেকের ধারণা, মিটিংয়ে যত বেশি কথা বলবেন, তত বেশি নজরে পড়বেন। কিন্তু করপোরেট বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কাজের ফলাফল এবং দায়িত্ববোধই আপনাকে মূল্যবান করে তোলে, না যে শুধু কথা বলতে পারেন।
আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো কিভাবে কম কথা বলে অফিস মিটিংয়ে কার্যকরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন। জেনে নিন সেরা ১০টি কৌশল...

১. গোছানো প্রস্তুতি নিন
প্রথমেই জানুন আপনি কম বলবেন, তাই প্রতিটি শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। মিটিংয়ের এজেন্ডা আগেই দেখে নিন। ৩/৪ টি শক্তিশালী পয়েন্ট এবং তথ্যপূর্ণ উদাহরণ আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।২. শারীরিক ভাষার দিকে খেয়াল রাখুন
কথা না বললেও সঠিক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আপনার উপস্থিতি জানান দেয়। মিটিংয়ে সোজা হয়ে বসুন, চোখে চোখ রাখুন যখন অন্যরা কথা বলে, এবং মনোযোগী শোনার অভ্যাস করুন।৩. সঠিক সময়ে কথা বলুন
সবাই যখন একসাথে কথা বলতে থাকে, তখন নয়। আলোচনা শান্ত হলে অথবা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আপনার মতামত দিন। ঠিক সময়ে একটি মূল্যবান কথা অনেক কথা বলার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।৪. বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রশ্ন করুন
গুছিয়ে প্রশ্ন করা আপনাকে চিন্তাশীল এবং যুক্তিবাদী হিসেবে উপস্থাপন করে। এটি আলোচনাকে এগিয়ে নিতেও সাহায্য করে।
৫. সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট থাকুন
অন্যরা যা ৫ মিনিটে বলে, আপনি ৩০ সেকেন্ডে বলার চেষ্টা করুন। স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ আপনাকে দক্ষ এবং স্মার্ট দেখাবে।৬. আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ব্যবহার করুন
যারা কম কথা বলে তারা প্রায়ই ভালো পর্যবেক্ষক হয়। মিটিংয়ের গতিপ্রকৃতি, মানুষের প্রতিক্রিয়া আপনি খেয়াল করুন এবং প্রয়োজনে সেই ইনসাইট শেয়ার করুন।৭. তথ্য এবং তথ্যপ্রমাণ দিন
যখনই কিছু বলবেন, ডাটা, উদাহরণ বা টেকসই যুক্তি দিয়ে সেটা উপস্থাপন করুন। এটি আপনার বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে।৮. দলের সাথে আলোচনা করে নিন
মিটিং একা যুদ্ধের মাঠ নয়। দলের সদস্যদের সাথে আগে থেকেই পরিকল্পনা ও মতামত শেয়ার করুন। এতে মিটিংয়ে আপনার অবস্থান শক্তিশালী হবে।৯. সুনির্দিষ্ট অ্যাড-ভ্যালু দিন
শুধু সমস্যা তুলে ধরা নয়, সমাধানের প্রস্তাব নিয়ে আসুন। "এটা হবে না" বলার চেয়ে "আমরা এভাবে চেষ্টা করতে পারি" বলা বেশি কার্যকর।১০. কথা নয়, কর্মফলকে প্রাধান্য দিন
শেষ পর্যন্ত, আপনার সময়মতো দেওয়া কাজ, প্রকল্পের সাফল্য এবং দলগত অবদানই আপনাকে আলাদা করবে। মিটিংয়ের কথা ভুলে যাবে মানুষ, কিন্তু আপনার কাজের রেকর্ড থাকবে।মিটিং হলো মূল্য প্রদর্শনের জায়গা, আড্ডার নয়। কম কথা বলে, বেশি কাজ দিয়ে এবং গুছিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেই সফল করপোরেট প্রফেশনাল হওয়া যায়।
প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে "করপোরেট মিটিংয়ের সেরা টিপসগুলো" পড়ে আপনার কেমন লেগেছে আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। আপনার মঙ্গল কামনা করি। ভাল থাকুন সবসময়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।