যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে এতমত হয়েছে এবং এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ফেরত পাঠানো বাংলাদেশী নাগরিকের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি। বিগত ১৬ মে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ”। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশী আশ্রয়প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ব্রিটিশ ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ” বলেছে, বিগত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে। তারপর যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর সেখানে স্থায়ীভাবে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন তারা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের “পেছনের দরজা” হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ব্রিটিশ ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। এর মানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
এই ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে। এছাড়া রিটার্ন চুক্তিটির ফলে বাধ্যতামূলক কোনো সাক্ষাৎকার ছাড়াই অভিযুক্তদের দেশে ফেরত পাঠনো যাবে কারণ এইসকল অভিবাসীদের দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক প্রমাণ রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ” বলছে, চলতি সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়। সেখানে উভয় দেশ তাদের মধ্যকার অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা জানায়।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন: "অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসা বা থাকা বন্ধ করার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণের কাজ ত্বরান্বিত করা আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি মূল্যবান আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং আমরা তাদের সাথে এই অভিবাসন ইস্যুর পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি।"
তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের চুক্তিগুলো অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে বলে আমরা ইতোমধ্যে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পেয়েছি। বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন এবং আমি সবার জন্য ন্যায্য ব্যবস্থা তৈরি করতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।"
দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, যুক্তরাজ্যের ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (অন্যান্য দেশের মানুষকে) যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। সাধারণত সেটা মাত্র কয়েক মাস হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন বা অ্যাসাইলাম দাবি করলে তার দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কেউ এই ধরনের আবেদন করলে তাদের নির্বাসনে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটির হোম অফিস মানবাধিকার আইনসহ বিশাল বাধার সম্মুখীন হয়।
গত মাসে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।
আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com
ফেরত পাঠানো বাংলাদেশী নাগরিকের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি। বিগত ১৬ মে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ”। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশী আশ্রয়প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ব্রিটিশ ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ” বলেছে, বিগত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে। তারপর যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর সেখানে স্থায়ীভাবে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন তারা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের “পেছনের দরজা” হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ব্রিটিশ ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। এর মানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
এই ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে। এছাড়া রিটার্ন চুক্তিটির ফলে বাধ্যতামূলক কোনো সাক্ষাৎকার ছাড়াই অভিযুক্তদের দেশে ফেরত পাঠনো যাবে কারণ এইসকল অভিবাসীদের দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক প্রমাণ রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম “দ্য টেলিগ্রাফ” বলছে, চলতি সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়। সেখানে উভয় দেশ তাদের মধ্যকার অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা জানায়।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন: "অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসা বা থাকা বন্ধ করার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণের কাজ ত্বরান্বিত করা আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি মূল্যবান আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং আমরা তাদের সাথে এই অভিবাসন ইস্যুর পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি।"
তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের চুক্তিগুলো অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে বলে আমরা ইতোমধ্যে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পেয়েছি। বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন এবং আমি সবার জন্য ন্যায্য ব্যবস্থা তৈরি করতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।"
দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, যুক্তরাজ্যের ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (অন্যান্য দেশের মানুষকে) যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয়। সাধারণত সেটা মাত্র কয়েক মাস হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর কেউ আশ্রয়ের আবেদন বা অ্যাসাইলাম দাবি করলে তার দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কেউ এই ধরনের আবেদন করলে তাদের নির্বাসনে পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটির হোম অফিস মানবাধিকার আইনসহ বিশাল বাধার সম্মুখীন হয়।
গত মাসে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।
আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।