কাঁধে ব্যথা খুবই সাধারণ কিন্তু কষ্টদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা। এটি আপনার স্বাভাবিক চলাফেরা এবং কাজকর্মে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায় রোটেটর কাফ সিনড্রোম, যা মূলত ফ্রোজেন শোল্ডারের মতো বিভিন্ন উপসর্গের সমষ্টি। আজকের এই পোস্টে আমরা কাঁধে ব্যথার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, আসুন নিচের বিষয়গুলো পড়ে নেয়া যাক...

⦿ ফ্রোজেন শোল্ডার: কাঁধের জয়েন্ট জমে যায় এবং নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে।
⦿ সুপ্রাস্পাইনেটাস টেন্ডিনাইটিস: টেন্ডনের প্রদাহ, যা ব্যথা সৃষ্টি করে।
⦿ বাইসেপস টেন্ডিনাইটিস: বাইসেপস টেন্ডনের সমস্যা।
⦿ ইম্পিঞ্জমেন্ট টেন্ডিনাইটিস: জয়েন্টে ঘর্ষণের কারণে ব্যথা হয়।
⦿ ক্যালসিফিক টেন্ডিনাইটিস: ক্যালসিয়ামের জমাট বাঁধা থেকে ব্যথা।
⦿ হৃদ্রোগ: হার্টের সমস্যার কারণে অনেক সময় কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
⦿ পক্ষাঘাত: বিশেষত স্ট্রোকের পর কাঁধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
⦿ হাইপার থাইরয়েডিজম ও হাইপারলিপিডেমিয়া: হরমোনজনিত এবং চর্বি সংশ্লিষ্ট রোগ।
⦿ পোস্ট-অপারেটিভ জটিলতা: বিশেষত নিউরোসার্জারির পর।
⦿ হাত উপরে তুলতে বা পেছনে নিতে অসুবিধা।
⦿ দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে কাঁধের জয়েন্ট জমে যাওয়া বা শক্ত হয়ে যাওয়া।
⦿ সাবএকিউট ফেজ: ব্যথা শুরু হয়।
⦿ ক্রোনিক ফেজ: ব্যথা বাড়তে থাকে, কাঁধের নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়।
⦿ রোটেটর কাফ টিয়ার: দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
১. কনজারভেটিভ চিকিৎসা:
⦿ ওষুধ সেবন: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস কাঁধের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
⦿ ব্যায়াম: পেন্ডুলার মুভমেন্ট: কোমর নুইয়ে ঘড়ির কাঁটার মতো কাঁধ নাড়ানো।
⦿ হালকা স্ট্রেচিং ব্যায়াম: জয়েন্টের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য।
⦿ গরম বা ঠান্ডা সেঁক: ব্যথা উপশমে কার্যকর।
২. সার্জিক্যাল চিকিৎসা:
যদি কনজারভেটিভ চিকিৎসা ব্যর্থ হয়, তবে সার্জারি করা হয়। এতে লিগামেন্ট রিলিজ করে জয়েন্টের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

রোটেটর কাফ সিনড্রোম: কী কী অন্তর্ভুক্ত:
রোটেটর কাফ সিনড্রোমের বিভিন্ন অংশ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:⦿ ফ্রোজেন শোল্ডার: কাঁধের জয়েন্ট জমে যায় এবং নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে।
⦿ সুপ্রাস্পাইনেটাস টেন্ডিনাইটিস: টেন্ডনের প্রদাহ, যা ব্যথা সৃষ্টি করে।
⦿ বাইসেপস টেন্ডিনাইটিস: বাইসেপস টেন্ডনের সমস্যা।
⦿ ইম্পিঞ্জমেন্ট টেন্ডিনাইটিস: জয়েন্টে ঘর্ষণের কারণে ব্যথা হয়।
⦿ ক্যালসিফিক টেন্ডিনাইটিস: ক্যালসিয়ামের জমাট বাঁধা থেকে ব্যথা।
কারা বেশি আক্রান্ত হন?
৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষ এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। নারী ও পুরুষ উভয়ই এতে আক্রান্ত হতে পারেন।কাঁধের ব্যথার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ:
কিছু শারীরিক সমস্যা কাঁধে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে:⦿ হৃদ্রোগ: হার্টের সমস্যার কারণে অনেক সময় কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
⦿ পক্ষাঘাত: বিশেষত স্ট্রোকের পর কাঁধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
⦿ হাইপার থাইরয়েডিজম ও হাইপারলিপিডেমিয়া: হরমোনজনিত এবং চর্বি সংশ্লিষ্ট রোগ।
⦿ পোস্ট-অপারেটিভ জটিলতা: বিশেষত নিউরোসার্জারির পর।
কাঁধে ব্যথার কারণ:
রোটেটর কাফ সিনড্রোমের সঠিক কারণ নির্ণয় করা কঠিন। তবে কিছু ক্ষেত্রে লিগামেন্ট ও টেন্ডনের প্রদাহ এবং ফাইব্রোসিস (টিস্যুর শক্ত হয়ে যাওয়া) এটি তৈরি করে। এটি ধীরে ধীরে কাঁধের নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে।কাঁধে ব্যথার কিছু উপসর্গ:
⦿ কাঁধ নড়াতে গিয়ে ব্যথা অনুভব হওয়া।⦿ হাত উপরে তুলতে বা পেছনে নিতে অসুবিধা।
⦿ দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে কাঁধের জয়েন্ট জমে যাওয়া বা শক্ত হয়ে যাওয়া।
রোগ নির্ণয়:
রোগ নির্ণয়ে শারীরিক পরীক্ষা এবং কখনো কখনো এক্স-রে করা হয়। তবে এই রোগে সাধারণত এক্স-রে রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকে, কারন ব্যথা এক্স-রে রিপোর্টে ধরা পড়ে না।রোগের ধাপ:
এই রোগ তিনটি ধাপ অতিক্রম করে:⦿ সাবএকিউট ফেজ: ব্যথা শুরু হয়।
⦿ ক্রোনিক ফেজ: ব্যথা বাড়তে থাকে, কাঁধের নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়।
⦿ রোটেটর কাফ টিয়ার: দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় সম্ভব।১. কনজারভেটিভ চিকিৎসা:
⦿ ওষুধ সেবন: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস কাঁধের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
⦿ ব্যায়াম: পেন্ডুলার মুভমেন্ট: কোমর নুইয়ে ঘড়ির কাঁটার মতো কাঁধ নাড়ানো।
⦿ হালকা স্ট্রেচিং ব্যায়াম: জয়েন্টের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য।
⦿ গরম বা ঠান্ডা সেঁক: ব্যথা উপশমে কার্যকর।
২. সার্জিক্যাল চিকিৎসা:
যদি কনজারভেটিভ চিকিৎসা ব্যর্থ হয়, তবে সার্জারি করা হয়। এতে লিগামেন্ট রিলিজ করে জয়েন্টের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কতদিনে সুস্থ হওয়া সম্ভব:
এই রোগ সাধারণত ১৮ মাসের মধ্যে নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও ৬-১২ মাস সময় লাগতে পারে।বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
কাঁধে ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তা নিন।পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।