গ্রীষ্মের তীব্র গরমে এয়ার কন্ডিশনার আমাদের জীবনকে আরামদায়ক করে তোলে। তবে শীতকালে দীর্ঘ সময় এসি বন্ধ রাখার পর আবার গরমকালে চালু করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এসিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যা থেকে এসি বিস্ফোরণ বা ইলেকট্রিক শকের দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এসি চালানোর আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
চলুন জেনে নিই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালানোর আগে কী কী করবেন...

সঠিক প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও নিরাপদে এসি চালু করতে পারেন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পেশাদার টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিলে এসির কার্যক্ষমতা ও নিরাপত্তা দুটোই নিশ্চিত করা যায়।
মনে রাখবেন: এসি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে আমারদায়ক করে, কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটি বিপদের কারণও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত এসির যত্ন নিন।
সবসময় দৈনন্দিন জীবনের প্রিমিয়াম টিপস পেতে প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগ ভিজিট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
চলুন জেনে নিই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালানোর আগে কী কী করবেন...

১. এসির আউটডোর ও অন্যান্য বিষয় চেক করুন
প্রথমেই এসির বাহ্যিক অবস্থা পরীক্ষা করুন। পাওয়ার কেবল, প্লাগ এবং সুইচ বোর্ড ঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। এসির আউটডোর ইউনিটের চারপাশে কোনো ময়লা বা বাধা আছে কি না, তা পরিষ্কার করুন।২. এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এসির ফিল্টারে ধুলাবালি জমে যায়, যা এসির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়। ফিল্টার খুলে সাবধানে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে ফিল্টার পরিবর্তন করুন।৩. বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করুন
এসির বিদ্যুৎ সংযোগ ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। ওয়্যারিং বা ক্যাবলে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা খুলে ভাল করে দেখে নিন। যদি এসির ভেতরে সার্কিট ব্রেকার থাকে, তাহলে সেটি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।৪. এসির গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করুন
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এসির কুল্যান্ট বা রেফ্রিজারেন্ট লিক হতে পারে, যা এসি বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে। এসির চারপাশে যদি অস্বাভাবিক গন্ধ পান, তাহলে সেটি গ্যাস লিকের লক্ষণ হতে পারে। সন্দেহ হলে বিশেষজ্ঞ এসি টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।৫. এসির কম্প্রেসর পরীক্ষা করুন
কম্প্রেসর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে এটি ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। এসি চালুর সময় অস্বাভাবিক শব্দ হলে সেটি কম্প্রেসরের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। কম্প্রেসর অতিরিক্ত গরম হলে সঙ্গে সঙ্গে এসি বন্ধ করুন এবং টেকনিশিয়ান ডাকুন।৬. প্রথমবার চালানোর সময় সতর্ক থাকুন
প্রথমবার এসি চালানোর আগে নিশ্চিত করুন যে, সেটির কোনো যান্ত্রিক সমস্যা নেই। এসি চালানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হলে এসির ইনডোর ইউনিটের পাউপ দিয়ে পানি পড়ে কিনা দেখে নিন, যদি পড়ে বুঝে নিবেন ড্রেন লাইন ঠিক আছে।৭. পেশাদার টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিন
এসি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালানোর আগে একজন পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া ভালো। বিশেষ করে যদি এসির কম্প্রেসর, গ্যাস বা ইলেকট্রিক সংযোগ নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে নিজে পরীক্ষা না করে এসি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।৮. নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন
এসির দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন। বছরে অন্তত একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি সার্ভিসিং করান।৯. এসির ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন
এসি চালানোর সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন। বাড়ির তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসির তাপমাত্রা সেট করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে এবং এসির আয়ু বাড়বে। এসির সবচেয়ে ভাল ঠান্ডা তাপমাত্রা হলো ২৫-২৬ ডিগ্রি যা শরীরের জন্য ভাল এবং ইলেকট্রিক বিল ও কম আসবে।১০. জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকুন
এসি চালানোর সময় কোনো জরুরি অবস্থা, যেমন গ্যাস লিক বা আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন বা মেইন সুইচ বন্ধ করে ফেলুন এবং নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।সঠিক প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও নিরাপদে এসি চালু করতে পারেন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পেশাদার টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিলে এসির কার্যক্ষমতা ও নিরাপত্তা দুটোই নিশ্চিত করা যায়।
মনে রাখবেন: এসি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে আমারদায়ক করে, কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটি বিপদের কারণও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত এসির যত্ন নিন।
সবসময় দৈনন্দিন জীবনের প্রিমিয়াম টিপস পেতে প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগ ভিজিট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।