প্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহারকারী, একটি অপ্রীতিকর কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ খবর শেয়ার করছি। আপনার পরের স্মার্টফোনটি হয়তো আগের চেয়ে বেশি দামেই কিনতে হবে। কারণ বিশ্বব্যাপী মেমোরি চিপের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে স্মার্টফোনের খুচরা মূল্যের উপর।

কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি সহ প্রায় সব বড় ব্র্যান্ড তাদের ফ্ল্যাগশিপ এবং মিড রেঞ্জ ফোন থেকে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট তুলে নিয়েছে। তাদের যুক্তি ছিল হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লে, পাতলা ডিজাইন, উন্নত ওয়াটারপ্রুফিং এবং দ্রুতগতির ইউএফএস স্টোরেজ। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্তই পুনর্বিবেচনা করতে বসেছে কোম্পানিগুলো।
এই সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট ফিরিয়ে আনা। তাহলে ব্যবহারকারীরা কম স্টোরেজের একটি ফোন কিনে, পরে সাশ্রয়ী মূল্যে মাইক্রোএসডি কার্ড কিনে স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন। এতে ফোনের প্রাথমিক দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সুতরাং, আপনার পরবর্তী ফোন কেনার আগে স্টোরেজ অপশন ভালোভাবে চেক করে নিন। হয়তো পুরনো সেই সাশ্রয়ী সুবিধাটিই আবার ফিরে আসতে যাচ্ছে। নিয়মিত টেক বিষয়ে নিত্য নতুন খবরাখবর পড়তে ভিজিট করুন প্রযুক্তির বিশ্ব টেকনোলজি ব্লগ। ভাল থাকুন সবসময়।

কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি সহ প্রায় সব বড় ব্র্যান্ড তাদের ফ্ল্যাগশিপ এবং মিড রেঞ্জ ফোন থেকে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট তুলে নিয়েছে। তাদের যুক্তি ছিল হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লে, পাতলা ডিজাইন, উন্নত ওয়াটারপ্রুফিং এবং দ্রুতগতির ইউএফএস স্টোরেজ। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্তই পুনর্বিবেচনা করতে বসেছে কোম্পানিগুলো।
কেন এই পরিবর্তন এলো?
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ইন্টারনাল স্টোরেজ চিপ (NAND ফ্ল্যাশ) এর দাম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বেশি স্টোরেজযুক্ত (যেমন ২৫৬ জিবি বা ৫১২ জিবি) ফোনের দাম আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাচ্ছে। কিছু বিশ্লেষকের আশঙ্কা, ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে স্মার্টফোনের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।এই সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট ফিরিয়ে আনা। তাহলে ব্যবহারকারীরা কম স্টোরেজের একটি ফোন কিনে, পরে সাশ্রয়ী মূল্যে মাইক্রোএসডি কার্ড কিনে স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন। এতে ফোনের প্রাথমিক দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কী ধরনের সমাধান আসতে পারে?
ব্র্যান্ডগুলো আগের পুরনো স্লট ফিরিয়ে আনবে না। বরং তারা অত্যাধুনিক সমাধান খুঁজছে। সবচেয়ে সম্ভাব্য বিকল্প হলো হাইব্রিড/কম্বো ট্রে। যেখানে একটি ট্রেতেই ২টি ন্যানো সিম কার্ড বা ১টি ন্যানো সিম + ১টি মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের অপশন থাকবে। এতে ফোনের ডিজাইন বা ওয়াটারপ্রুফিং ক্ষমতায় তেমন প্রভাব পড়বে না।এটা কি নিশ্চিত খবর?
এখনো পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব চূড়ান্ত নয়। তবে মেমোরি চিপের বাজারের অস্থিরতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০২৬ সালের মধ্যেই আমরা মিড রেঞ্জ সেগমেন্টের বহু স্মার্টফোনে মাইক্রোএসডি সাপোর্ট ফিরে পেতে পারি। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় সুখবর হতে পারে, যারা সাশ্রয়ী উপায়ে স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা চান।সুতরাং, আপনার পরবর্তী ফোন কেনার আগে স্টোরেজ অপশন ভালোভাবে চেক করে নিন। হয়তো পুরনো সেই সাশ্রয়ী সুবিধাটিই আবার ফিরে আসতে যাচ্ছে। নিয়মিত টেক বিষয়ে নিত্য নতুন খবরাখবর পড়তে ভিজিট করুন প্রযুক্তির বিশ্ব টেকনোলজি ব্লগ। ভাল থাকুন সবসময়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।