রাজশাহীতে ২ বছরের শিশু সাজিদের ৪৫ ফুট গর্তে আটকে পড়ার ঘটনা

আপডেট: রাত: ১০:১৬, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর শিশু সাজিদকে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর, ২০২৫) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আপডেট: রাত: ০৯:০৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
২ বছর বয়স শিশু সাজিদকে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর, ২০২৫) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী তানোর শিশু সাজিদ উদ্ধার আপডেট, রাজশাহীতে গর্তে পড়া শিশুর উদ্ধার অভিযান

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এক নির্মম দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের মাত্র ২ বছর বয়সী শিশু সাজিদ একটি গভীর গর্তে পড়ে গেছে। গত বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে এবং প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধারকারী দল গর্তটির ৪৫ ফুট গভীরতায়ও শিশুটিকে খুঁজে পায়নি।


রাজশাহী তানোর শিশু সাজিদ উদ্ধার আপডেট, রাজশাহীতে গর্তে পড়া শিশুর উদ্ধার অভিযান

উদ্ধার অভিযানের বর্তমান অবস্থা

ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিশেষ সার্চ ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে গর্তটি পরীক্ষা করেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, ৪৫ ফুটের নিচে ক্যামেরাও যেতে পারছে না। এর নিচে কী অবস্থা, তা কারও জানা নেই। শিশুর পিতা মো. রাকিব ও পরিবারের সদস্যরা মর্মান্তিক এই অপেক্ষায় রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, "শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত যেতে হবে। এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।"

কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো?


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর যাচাই করার জন্য এই গর্তটি খনন করেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে গর্তটি ভরাট করা হয়েছিল, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে সেখানে আবার গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই দৃশ্যমান গর্তেই খেলতে গিয়ে পড়ে যায় অজান্তেই ছোট্ট সাজিদ।

শিশু সাজিদের উদ্ধারকাজের চ্যালেঞ্জ

গর্তটি অত্যন্ত গভীর এবং সংকীর্ণ হওয়ায় উদ্ধারকার্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। বড় এক্সকাভেটর দিয়ে মূল গর্তের পাশ কেটে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। রাতের বেলায়ও বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করে কাজ চালানো হচ্ছে।

এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যা


এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অত্যন্ত নিচে নেমে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ কারণেই এই এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো নিষিদ্ধ রয়েছে। গর্ত খননের এই রেওয়াজই আজ এমন এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

সারা দেশের মানুষের সাথে প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগের টিম নিঃশ্বাস রুদ্ধ করে অপেক্ষা করছে ছোট্ট সাজিদের সুস্থভাবে উদ্ধার হওয়ার জন্য। আমরা ফায়ার সার্ভিসের বীর উদ্ধারকর্মী এবং অন্যান্য সহায়ক দলের এই কঠিন মিশনে সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ আপনি রহম করুন।

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)

নবীনতর পূর্বতন