একটি ভালবাসার সম্পর্কে দীর্ঘদিন থাকলে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে। এমনকি আপনার মনেও হতে পারে যে আপনার সঙ্গীর প্রতি আপনার মন থেকে কেনো অনুভূতি নেই। কিন্তু পরবর্তীতে ভালবাসার সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে বুঝতে পারেন এতদিন বোধহয় ভুল ভেবেছিলেন। প্রেমে বিচ্ছেদের পর মানসিক চাপ স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে। আর এই চাপ থেকেই স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে। ইমোশনাল স্ট্রেস আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনেক ক্লান্তি ডেকে আনে। আর এই মানসিক স্ট্রেসের সঙ্গে হৃদরোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই একটু সর্তক হোন এবং নিচের লেখাগুলো পড়ুন।
সম্পর্ক ভাঙ্গনের ফলে বেশি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অজান্তেই ক্ষতি করছে আপনার হার্টের। কারণ আমাদের শরীরের স্ট্রেস বেড়ে গেলে শরীরে ক্যাটেকোলামাইনস নামক হরমোনের ক্ষরণ অনেক হারে বেড়ে যায়। এই ক্যাটেকোলামাইনস হরমোনের ক্ষরণ বাড়া মানে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দিতে গিয়ে চাপ পড়ে আমাদের হার্টের ওপর। আমাদের চারপাশের আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি সকল কিছু মিলিয়ে আপনার প্রতিদিনের ক্লান্তি অনেক বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্রমাগত মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। বাড়তি অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আপনার হার্টের আকারেরও পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা এসে আপনার পুরো স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
বেশি স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে করোনারি ধমনি হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত জোগান দিতে পারেন না। যার ফলে বুকে ব্যথা শুরু হয়, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইসচেমিয়া বলে। এছাড়া বেশি স্ট্রেসের কারণে হার্টবিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত জমাট পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে। হার্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা ইমোশ্যানাল স্ট্রেসে থাকলে আমাদের দেহের স্ট্রেস হরমোন ক্ষরিত হয়, যা রক্তে মিশে শর্করা, কোলেস্টেরল, টাইগ্লিসারাইডের পরিমাণকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। আর জেনে রাখুন, এইগুলো মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক যার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ভালবাসার সম্পর্কে ব্রেকআপ হলে অথবা এই ধরনের সকল সমস্যার ক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষের প্রাথমিক অবস্থাতে শান্ত এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকা জরুরি। যদিও প্রাথমিক অবস্থাতে স্ট্রেসমুক্ত থাকা যায় না। তবুও নিজেকে সামলে নিতে হবে বাস্তবতার অনুগ্রহে। বিচ্ছেদের সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ রেখে নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। কিছু মানুষ সকলের জীবনে থাকে যাদের প্রয়োজনীয় মনে হয়। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর মনে হয় তাদের প্রতি ভুল আবেগও রয়েছে। এই মানুষদের ঠেলে নিজের মানসিক স্ট্রেস দূর করা ব্যাপকভাবে জরুরি। নিজের অজান্তেই কিছু কিছু বিরক্তিকর মানুষের উপস্থিতি না রাখলেই আপনার জন্য ভালো। যদি প্রেমের সম্পর্কে এই বিচ্ছেদ আসে এবং পরবর্তিতে যদি তা ঠিক করার কোনোরুপ প্রত্যাশা থেকে তাহলে নিশ্চিন্তে অপেক্ষা করতে পারেন। সম্পর্ক ঠিক হলে তো ভাল। আর যদি না হয় তবে ভেঙ্গে পড়বেন না। বরং পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
সম্পর্ক ভাঙ্গনের ক্ষেত্রে যদিও অধিকাংশ সবসময় সম্পর্ক ঠিক অবস্থাতে ফিরে আসে না। তবে এই সময়ে ভুল সম্পর্কগুলো ছাঁটাই করা জরুরি এবং নিজেকে সামলে নিতে হবে যেন নিজের দ্বারা নিজের কোনো ক্ষতি না হয়। সকল কিছুর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসেও মনোযোগ দিতে হবে। সবচেয়ে বড় মেডিকেশন আর ঔষধ হলো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থণা করা যেন উনি এইসকল খারাপ পরিস্থিতি থেকে আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে।
আমাদের জীবনের লাইফস্টাইল নিয়ে নতুন বিষয়ে আপডেট পেতে নিয়মিত SaimooM.com ব্লগটি ভিজিট করতে ভুলবেন না। আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য এবং মানসিক চাপ মুক্ত জীবন কামনা করি। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com
তাই একটু সর্তক হোন এবং নিচের লেখাগুলো পড়ুন।
সম্পর্ক ভাঙ্গনের ফলে বেশি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অজান্তেই ক্ষতি করছে আপনার হার্টের। কারণ আমাদের শরীরের স্ট্রেস বেড়ে গেলে শরীরে ক্যাটেকোলামাইনস নামক হরমোনের ক্ষরণ অনেক হারে বেড়ে যায়। এই ক্যাটেকোলামাইনস হরমোনের ক্ষরণ বাড়া মানে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দিতে গিয়ে চাপ পড়ে আমাদের হার্টের ওপর। আমাদের চারপাশের আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি সকল কিছু মিলিয়ে আপনার প্রতিদিনের ক্লান্তি অনেক বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্রমাগত মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। বাড়তি অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আপনার হার্টের আকারেরও পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা এসে আপনার পুরো স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
বেশি স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে করোনারি ধমনি হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত জোগান দিতে পারেন না। যার ফলে বুকে ব্যথা শুরু হয়, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইসচেমিয়া বলে। এছাড়া বেশি স্ট্রেসের কারণে হার্টবিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত জমাট পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে। হার্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা ইমোশ্যানাল স্ট্রেসে থাকলে আমাদের দেহের স্ট্রেস হরমোন ক্ষরিত হয়, যা রক্তে মিশে শর্করা, কোলেস্টেরল, টাইগ্লিসারাইডের পরিমাণকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। আর জেনে রাখুন, এইগুলো মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক যার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ভালবাসার সম্পর্কে ব্রেকআপ হলে অথবা এই ধরনের সকল সমস্যার ক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষের প্রাথমিক অবস্থাতে শান্ত এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকা জরুরি। যদিও প্রাথমিক অবস্থাতে স্ট্রেসমুক্ত থাকা যায় না। তবুও নিজেকে সামলে নিতে হবে বাস্তবতার অনুগ্রহে। বিচ্ছেদের সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ রেখে নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। কিছু মানুষ সকলের জীবনে থাকে যাদের প্রয়োজনীয় মনে হয়। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর মনে হয় তাদের প্রতি ভুল আবেগও রয়েছে। এই মানুষদের ঠেলে নিজের মানসিক স্ট্রেস দূর করা ব্যাপকভাবে জরুরি। নিজের অজান্তেই কিছু কিছু বিরক্তিকর মানুষের উপস্থিতি না রাখলেই আপনার জন্য ভালো। যদি প্রেমের সম্পর্কে এই বিচ্ছেদ আসে এবং পরবর্তিতে যদি তা ঠিক করার কোনোরুপ প্রত্যাশা থেকে তাহলে নিশ্চিন্তে অপেক্ষা করতে পারেন। সম্পর্ক ঠিক হলে তো ভাল। আর যদি না হয় তবে ভেঙ্গে পড়বেন না। বরং পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
সম্পর্ক ভাঙ্গনের ক্ষেত্রে যদিও অধিকাংশ সবসময় সম্পর্ক ঠিক অবস্থাতে ফিরে আসে না। তবে এই সময়ে ভুল সম্পর্কগুলো ছাঁটাই করা জরুরি এবং নিজেকে সামলে নিতে হবে যেন নিজের দ্বারা নিজের কোনো ক্ষতি না হয়। সকল কিছুর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসেও মনোযোগ দিতে হবে। সবচেয়ে বড় মেডিকেশন আর ঔষধ হলো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থণা করা যেন উনি এইসকল খারাপ পরিস্থিতি থেকে আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে।
আমাদের জীবনের লাইফস্টাইল নিয়ে নতুন বিষয়ে আপডেট পেতে নিয়মিত SaimooM.com ব্লগটি ভিজিট করতে ভুলবেন না। আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য এবং মানসিক চাপ মুক্ত জীবন কামনা করি। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।