গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা অ্যাপল সাইডার কিংবা সকালের নাস্তায় এক গ্লাস আপেলের জুস - দুটোই সুস্বাদু, কিন্তু জানেন কি এদের মধ্যে পার্থক্য কী? অনেকেই এই দুই পানীয়কে গুলিয়ে ফেলেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এদের প্রস্তুতপ্রণালী, স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
চলুন জেনে নিই বিস্তারিত:

• গরম: দারুচিনি, লবঙ্গ ও কমলা দিয়ে ফুটিয়ে শীতের সন্ধ্যায় উপভোগ করুন।
• নিরাপত্তা: অ-পাস্তুরিত সাইডার ৭০°C তাপমাত্রায় গরম করে নিন।
• ১ লিটার অ্যাপল সাইডার
• ২-৩ টুকরা দারুচিনি
• ১ চা-চামচ লবঙ্গ
• ১টি কমলা (টুকরা করা)
প্রণালী:
১. সব উপকরণ একসাথে মধ্যম আঁচে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
২. চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন।
৩. গরম গরম পরিবেশন করুন।
• ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি-মুক্ত ভার্সন বেছে নিন।
• হার্ড সাইডার পান করলে পরিমাপ মেনে চলুন।
"প্রাকৃতিক অ্যাপল সাইডার শুধু স্বাদেই নয়, পাচনতন্ত্রের জন্যও উপকারী" --- পুষ্টিবিদ ড. সায়মা হক
আপনি কোনটা পছন্দ করেন? গরম অ্যাপল সাইডার নাকি আইসি কোল্ড জুস? নিচে কমেন্টে জানান। আর এই তথ্যগুলো শেয়ার করে অন্যদেরও সচেতন করুন। প্রিয় পাঠক, ঘরে বানানো সাইডারের স্বাদই আলাদা! এই রেসিপি ট্রাই করে দেখুন আর রিভিউ দিন। প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চলুন জেনে নিই বিস্তারিত:

অ্যাপল সাইডার কী?
অ্যাপল সাইডার হলো কাঁচা আপেল পেষে তৈরি এক ধরনের ঘোলাটে ও গাঢ় রঙের পানীয়। এটি সাধারণত ফিল্টার করা হয় না, ফলে এর মধ্যে আপেলের গুণ ও প্রাকৃতিক তন্তু থেকে যায়। মার্কিন খাদ্য বিশেষজ্ঞ মেলিসা ক্রাভিজ হফনারের মতে, "অ্যাপল সাইডারে অক্সিডেশনের কারণে এটি খোসাসহ আপেলের মতোই রং বদলায় এবং একটু টক-মিষ্টি স্বাদ পায়।"আপেলের জুস বনাম অ্যাপল সাইডার
বৈশিষ্ট্য | অ্যাপল সাইডার | আপেলের জুস |
---|---|---|
প্রস্তুতি | কাঁচা আপেল পিষে | পরিপক্ক আপেল থেকে |
রং | গাঢ় ও ঘোলাটে | পরিষ্কার ও হালকা |
স্বাদ | প্রাকৃতিক, টক-মিষ্টি | মিষ্টি, মোলায়েম |
পাস্তুরাইজেশন | ঐচ্ছিক | সাধারণত করা হয় |
হার্ড সাইডার: অ্যালকোহলযুক্ত ভার্সন
অ্যাপল সাইডারকে যখন ইস্ট দিয়ে ফার্মেন্টেশন করা হয়, তখন তা পরিণত হয় হার্ড সাইডারে - যা একটি অ্যালকোহলিক পানীয় (১-১২% অ্যালকোহল)। এটি ওয়াইনের মতোই বিভিন্ন ফ্লেভারে পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।অ্যাপল সাইডার ভিনেগার কি একই জিনিস?
না। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার তৈরি করতে সাইডারকে দ্বিতীয়বার ফার্মেন্টেশন করা হয়, ফলে এতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি রান্না, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়।গরম নাকি ঠান্ডা - কিভাবে পান করবেন?
• ঠান্ডা: বরফ cubes দিয়ে সতেজতা নিন।• গরম: দারুচিনি, লবঙ্গ ও কমলা দিয়ে ফুটিয়ে শীতের সন্ধ্যায় উপভোগ করুন।
• নিরাপত্তা: অ-পাস্তুরিত সাইডার ৭০°C তাপমাত্রায় গরম করে নিন।
ঘরে বানান গরম অ্যাপল সাইডার
উপকরণ:• ১ লিটার অ্যাপল সাইডার
• ২-৩ টুকরা দারুচিনি
• ১ চা-চামচ লবঙ্গ
• ১টি কমলা (টুকরা করা)
প্রণালী:
১. সব উপকরণ একসাথে মধ্যম আঁচে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
২. চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন।
৩. গরম গরম পরিবেশন করুন।
স্বাস্থ্য টিপস
• অ্যাপল সাইডারে ফাইবার বেশি, কিন্তু জুসে ভিটামিন সি বেশি।• ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি-মুক্ত ভার্সন বেছে নিন।
• হার্ড সাইডার পান করলে পরিমাপ মেনে চলুন।
"প্রাকৃতিক অ্যাপল সাইডার শুধু স্বাদেই নয়, পাচনতন্ত্রের জন্যও উপকারী" --- পুষ্টিবিদ ড. সায়মা হক
আপনি কোনটা পছন্দ করেন? গরম অ্যাপল সাইডার নাকি আইসি কোল্ড জুস? নিচে কমেন্টে জানান। আর এই তথ্যগুলো শেয়ার করে অন্যদেরও সচেতন করুন। প্রিয় পাঠক, ঘরে বানানো সাইডারের স্বাদই আলাদা! এই রেসিপি ট্রাই করে দেখুন আর রিভিউ দিন। প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।