"আমি জমি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছি, কিন্তু আজ শুধু হতাশা আর অশ্রু পেয়েছি" – শরীয়তপুরের আমির হোসেনের এই কথাগুলো যেন শতাধিক ভুক্তভোগীর মর্মান্তিক কাহিনীর প্রতিধ্বনি। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে যারা বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, আজ তারা প্রতারক খায়রুল বাশারের জালে আটকা পড়েছেন।

জাহিদুল হক খান ও রওনক জাহান দম্পতি শুধু একজন নন – যারা ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে শুধু প্রতারণার শিকার হলেন। তাঁদের মতো ৪৪৮ জনের বেশি ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছেন, যাদের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশী।
"আমরা শুধু টাকা ফেরত চাই না, চাই এই প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি" – জান্নাতুল ফেরদৌস, যিনি ১৬ লাখ টাকা হারিয়েছেন।
• জাল ডকুমেন্ট: ভুয়া অফার লেটার ও এডমিশন কনফার্মেশন দেখানো হতো।
• টাকা আত্মসাৎ: একবার টাকা নেওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ থাকত না।
২. সিআইডিকে জানান: নতুন করে যারা প্রতারিত হয়েছেন, তারা সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. মিডিয়ায় আসুন: সামাজিক মাধ্যমে আপনার কাহিনী শেয়ার করে অন্যকে সতর্ক করুন।
• MRA (মাইগ্রেশন রিসার্চ এজেন্সি) লাইসেন্স আছে কি না দেখুন।
• পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স নিন।
• টাকা অ্যাডভান্স দেওয়ার আগে লিখিত চুক্তি নিন।
আপনিও কি বিএসবি গ্লোবালের অথবা অন্য কোনো এজেন্সির দ্ধারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন? নিচে কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং অন্যকে সচেতন করতে সাহায্য করুন।
সতর্কতা: কোনো এজেন্সি যদি "গ্যারান্টেড ভিসা" বা "১০০% স্কলারশিপ" বলে প্রলোভন দেখায়, তা অবিশ্বাস করুন। প্রয়োজনে আইনজীবীর আইনগত পরামর্শ নিন।
মূল সোর্স: https://www.prothomalo.com/bangladesh/crime/e6v745njiz

কীভাবে শুরু হলো এই প্রতারণার
২০১৮ সাল থেকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক নামের এই প্রতিষ্ঠানটি কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, স্কলারশিপ এবং ভিসা প্রক্রিয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার, তাঁর স্ত্রী সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশার একটি সুপরিকল্পিত চক্র গড়ে তোলেন।জাহিদুল হক খান ও রওনক জাহান দম্পতি শুধু একজন নন – যারা ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে শুধু প্রতারণার শিকার হলেন। তাঁদের মতো ৪৪৮ জনের বেশি ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছেন, যাদের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশী।
কী হবে ভুক্তভোগীদের টাকা?
গত সোমবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করেছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে শুধু বাশার নয়, তাঁর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ১০০টির বেশি মামলা চলছে, যার বেশিরভাগই গুলশান থানায় দায়ের করা হয়েছে।"আমরা শুধু টাকা ফেরত চাই না, চাই এই প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি" – জান্নাতুল ফেরদৌস, যিনি ১৬ লাখ টাকা হারিয়েছেন।
প্রতারণার পদ্ধতি: কীভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো?
• মিথ্যা প্রতিশ্রুতি: "৩ মাসের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে" বলে আশ্বাস দেওয়া হতো।• জাল ডকুমেন্ট: ভুয়া অফার লেটার ও এডমিশন কনফার্মেশন দেখানো হতো।
• টাকা আত্মসাৎ: একবার টাকা নেওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ থাকত না।
এখন কী করবেন ভুক্তভোগীরা?
১. মামলা দায়ের করুন: ইতিমধ্যেই অনেকেই গুলশান থানায় মামলা করেছেন।২. সিআইডিকে জানান: নতুন করে যারা প্রতারিত হয়েছেন, তারা সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. মিডিয়ায় আসুন: সামাজিক মাধ্যমে আপনার কাহিনী শেয়ার করে অন্যকে সতর্ক করুন।
কী বলছে বিএসবি গ্লোবালের পক্ষে?
প্রতিষ্ঠানের এক আইনজীবী দাবি করেছেন, "বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে তারা সফলভাবে বিদেশে পাঠিয়েছে। যারা পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।" কিন্তু ভুক্তভোগীদের মতে, এটি শুধু সময়ক্ষেপণের চেষ্টা।শেষ কথা: স্বপ্নভঙ্গের বেদনা থেকে শিক্ষা
বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাটা দোষের নয়, কিন্তু যেকোনো এজেন্সিকে বিশ্বাস করার আগে সতর্ক হোন:• MRA (মাইগ্রেশন রিসার্চ এজেন্সি) লাইসেন্স আছে কি না দেখুন।
• পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স নিন।
• টাকা অ্যাডভান্স দেওয়ার আগে লিখিত চুক্তি নিন।
আরো পড়ুন: কোঁচকানো কাপড় ইস্ত্রিতে সোজা হয় কীভাবে? জেনে নিন তাপ, চাপ ও আর্দ্রতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
আপনিও কি বিএসবি গ্লোবালের অথবা অন্য কোনো এজেন্সির দ্ধারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন? নিচে কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং অন্যকে সচেতন করতে সাহায্য করুন।
সতর্কতা: কোনো এজেন্সি যদি "গ্যারান্টেড ভিসা" বা "১০০% স্কলারশিপ" বলে প্রলোভন দেখায়, তা অবিশ্বাস করুন। প্রয়োজনে আইনজীবীর আইনগত পরামর্শ নিন।
মূল সোর্স: https://www.prothomalo.com/bangladesh/crime/e6v745njiz
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।