"আপনার দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন শুরু করে, তাহলে শুল্ক দিতে হবে না" - ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ফের উত্তপ্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক। ১ আগস্ট থেকে কানাডার রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

• ফেন্টানিল সংকট: ট্রাম্পের দাবি, কানাডা-মার্কিন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেন্টানিল (এক ধরনের মারাত্মক opioids) যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। যদিও মার্কিন কাস্টমসের তথ্য বলছে, মাত্র ০.২% ফেন্টানিল কানাডা সীমান্ত দিয়ে আসে, বাকিটা মেক্সিকো থেকে।
• দুগ্ধ শিল্পে বাধা: কানাডার দুগ্ধ শুল্কনীতিকে "অন্যায্য" আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এটি মার্কিন কৃষকদের ক্ষতি করছে।
• বাণিজ্য ঘাটতি: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
"যদি কানাডা ফেন্টানিল বন্ধে সহযোগিতা করে, তাহলে শুল্ক কমতেও পারে। নাহলে আরও বাড়বে!" বলেছেন ডোনাল ট্রাম্প।
• অটোমোবাইল সেক্টর (কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি)
• ধাতব শিল্প (ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি)
• কৃষিপণ্য (দুধ, পনির ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী)
• কেচআপ, হুইস্কি, স্টেইনলেস স্টিলের পণ্য
• কৃষি যন্ত্রপাতি ও কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী
ট্রুডো সরকার সতর্ক করে দিয়েছে, "২১ জুলাইয়ের মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
• জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া (ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০% শুল্ক)
• বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা (টেক্সটাইল ও অন্যান্য পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি)
• ইইউ দেশগুলো (শিগগিরই নতুন শুল্ক আসতে পারে)
• বাজার অস্থিরতা: শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কানাডার অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
• ভোক্তাদের ওপর চাপ: যুক্তরাষ্ট্রে কানাডীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
শেষ কথা: বাণিজ্য যুদ্ধ নাকি কূটনৈতিক চাপ?
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক চাপ তৈরি করাও একটি উদ্দেশ্য হতে পারে। আগামী দিনে এই সংঘাত কীভাবে মিটবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আপনার কী মনে হয়? ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কি ন্যায্য, নাকি অতিরিক্ত চাপ? নিচে কমেন্টে জানান। প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে বিশ্ব বাণিজ্যের খবর পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কেন এই শুল্ক? ট্রাম্পের তিনটি বড় অভিযোগ
ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে লেখা একটি চিঠিতে এই শুল্কের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছেন:• ফেন্টানিল সংকট: ট্রাম্পের দাবি, কানাডা-মার্কিন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেন্টানিল (এক ধরনের মারাত্মক opioids) যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। যদিও মার্কিন কাস্টমসের তথ্য বলছে, মাত্র ০.২% ফেন্টানিল কানাডা সীমান্ত দিয়ে আসে, বাকিটা মেক্সিকো থেকে।
• দুগ্ধ শিল্পে বাধা: কানাডার দুগ্ধ শুল্কনীতিকে "অন্যায্য" আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এটি মার্কিন কৃষকদের ক্ষতি করছে।
• বাণিজ্য ঘাটতি: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
"যদি কানাডা ফেন্টানিল বন্ধে সহযোগিতা করে, তাহলে শুল্ক কমতেও পারে। নাহলে আরও বাড়বে!" বলেছেন ডোনাল ট্রাম্প।
কোন পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে কানাডার ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি শিল্পে ২৫% শুল্ক বসিয়েছে। নতুন এই ৩৫% শুল্ক সিইউএসএমএ (USMCA) চুক্তির বাইরের পণ্যে প্রযোজ্য হবে। সবচেয়ে বেশি আঘাত লাগতে পারে:• অটোমোবাইল সেক্টর (কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি)
• ধাতব শিল্প (ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি)
• কৃষিপণ্য (দুধ, পনির ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী)
কানাডার পাল্টা পদক্ষেপ: শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কা
কানাডা ইতিমধ্যেই কিছু মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে, যেমন:• কেচআপ, হুইস্কি, স্টেইনলেস স্টিলের পণ্য
• কৃষি যন্ত্রপাতি ও কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী
ট্রুডো সরকার সতর্ক করে দিয়েছে, "২১ জুলাইয়ের মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি: কারা আক্রান্ত?
ট্রাম্প শুধু কানাডার ওপরেই নয়, গত এক সপ্তাহে ২১টি দেশের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে:• জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া (ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০% শুল্ক)
• বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা (টেক্সটাইল ও অন্যান্য পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি)
• ইইউ দেশগুলো (শিগগিরই নতুন শুল্ক আসতে পারে)
কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?
• আলোচনা চলছে: কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে USMCA চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।• বাজার অস্থিরতা: শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কানাডার অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
• ভোক্তাদের ওপর চাপ: যুক্তরাষ্ট্রে কানাডীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
শেষ কথা: বাণিজ্য যুদ্ধ নাকি কূটনৈতিক চাপ?
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কেবল অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক চাপ তৈরি করাও একটি উদ্দেশ্য হতে পারে। আগামী দিনে এই সংঘাত কীভাবে মিটবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আপনার কী মনে হয়? ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কি ন্যায্য, নাকি অতিরিক্ত চাপ? নিচে কমেন্টে জানান। প্রযুক্তির বিশ্ব ব্লগে বিশ্ব বাণিজ্যের খবর পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।